অনেকেই মনে করি কুরআন মাজীদ তেলাওয়াত খুবই কঠিন ও কষ্টকর কিন্তু আমরা জানিনা বাংলা পড়ার চেয়ে কুরআন মাজীদ পড়া আরও অনেক অনেক সহজ।বাংলা পড়ার চেয়ে কুরআন পড়া কিভাবে সহজ এখন আমি আপনাদেরকে প্র্যাকটিক্যাল দেখাবো তাই ভিডিওটি সম্পূর্ন দেখতে থাকুন।
আমরা প্রতিদিন লাইভ ক্লাস তিনবার করিয়ে থাকি।
আপনারা আপনাদের অবসর সময় অনুযায়ী সকালে, দুপুরে অথবা রাত্রে ক্লাস করতে পারবেন। একই ক্লাস সকালে, দুপুরে ও রাত্রে করানো হয়। ইচ্ছা করলে সকালে দুপুরে ও রাত্রে তিন বেলা ক্লাস করতে পারবেন।
কুরআন মাজীদ পড়তে পারলেই চলবে না। কুরআন মাজীদ পড়ার সময় তাজবীদসহ শুদ্ধভাবে পড়তে হবে। কারণ তাজবীদসহ শুদ্ধভাবে কুরআন মাজীদ পড়া প্রত্যেক মুসলমানের উপর ফরজ। তাজবীদ সহ শুদ্ধভাবে না পড়ার কারণে আমাদের নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত, বিভিন্ন জিকির ও দোয়া আল্লাহর দরবারে কবুল হয় না। কারণ তাজবীদসহ শুদ্ধভাবে না পড়ার কারণে আমাদের পড়ার মধ্যে অনেক ভুল হয় ও অর্থ পরিবর্তন হয়ে যায়।
কুরআন মাজীদ পড়ার সময় প্রত্যেকটি হরফ সহি- শুদ্ধভাবে পড়তে হবে। যেখানে তাড়াতাড়ি পড়া, সেখানে তাড়াতাড়ি পড়তে হবে। যেখানে টেনে পড়া, সেখানে টেনে পড়তে হবে। যেখানে গুন্নাহ করে পড়া, সেখানে গুন্নাহ করে পড়তে হবে। যেখানে স্পষ্ট করে পড়া, সেখানে স্পষ্ট করে পড়তে হবে। তা সঠিকভাবে আদায় না করার কারণে আমাদের পড়ার মধ্যে অনেক ভুল হয় ও অর্থ পরিবর্তন হয়ে যায়।যার ফলে আমাদের কুরআন তেলাওয়াত নামাজ, বিভিন্ন দোয়া, ও জিকির আল্লাহর দরবারে কবুল হয় না।
মহান আল্লাহ তা’য়ালা আমাদের সকলকে শুদ্ধভাবে কুরআন মাজীদ শেখার তৌফিক দান করুন। আমিন
আরবী লাহন শব্দের অর্থ ‘ভুল’। কুরআন পড়ায় যে সব ভুল হয়ে থাকে তাকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে, তা হলো লাহনে জালি ও লাহনে খফি। প্রত্যেক কুরআন পাঠকের এই ভুলগুলো সম্বন্ধে জানা ও পড়ার সময় সচেতন থাকা উচিৎ।
প্রশ্ন: লাহনে জালী কাকে বলে ?
উত্তর: লাহনে জালী হারাম। অনেক সময় লাহনে জালীর কারণে অর্থ পরিবর্তন হয়ে নামায নষ্ট হয়ে যায়।
প্রশ্ন: লাহনে জালীর হুকুম কি?
উত্তর: লাহনে জালী হারাম। অনেক সময় লাহনে জালীর কারণে অর্থ পরিবর্তন হয়ে নামায নষ্ট হয়ে যায়।
প্রশ্ন: লাহনে খাফী কাকে বলে ?
উত্তর: হরফ সুন্দর করে উচ্চারণ করার নিয়ম-নীতির বিপরীত পড়াকে লাহনে খাফী বলে।
প্রশ্ন: লাহনে খাফীর হুকুম কি ?
উত্তর: লাহনে খাফী মাকরুহ। তবে এ থেকেও বেঁচে থাকা উচিত।
রাসূল (সা.) এর অভিযোগ পেশ…..
কিয়ামতের ভয়াবহ অবস্থায় রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উম্মাতের জন্য শাফায়াত চাইবেন। কিন্তু যারা কুরআন শিক্ষা করেনি, কুরআনের যেসব হক রয়েছে তা আদায় করেনি, কিয়ামতের দিন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের বিরুদ্ধে আল্লাহর দরবারে অভিযোগ পেশ করবেন। কুরআনে এসেছে: রাসূল বলবেন, হে আমার রব, নিশ্চয় আমার কওম এ কুরআনকে পরিত্যাজ্য গণ্য করেছে। (সূরা ফুরকান : ৩০)। ইবনে কাসীর (র.) বলেন, কুরআন না পড়া, তা অনুসারে আমল না করা, তা থেকে হেদায়াত গ্রহণ না করা, এ সবই কুরআন পরিত্যাগ করার শামিল।জাহান্নামে যাওয়ার কারণ হবে…..
জাহান্নামের মত ভয়াবহ কঠিন জায়গা আর নেই। কুরআন শিক্ষা না করার কারণে জাহান্নামে যেতে হবে। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, কুরআন সুপারিশকারী এবং তাঁর সুপারিশ গ্রহণযোগ্য। সুতরাং যে ব্যক্তি কুরআনকে সামনে রেখে তাঁর অনুসরণ করবে, কুরআন তাকে জান্নাতে নিয়ে যাবে। আর যে ব্যক্তি একে নিজ পশ্চাতে রেখে দিবে, কুরআন তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবে। – (সহিহ ইবনে হিব্বান- ১২৪; মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক- ৬০১০; শু‘আবুল ঈমান- ১৮৫৫; আল মু‘জামুল কাবীর- ৮৬৫৫; মুসান্নাফ ইবনু আবি শায়বাহ- ৩০০৫৪; সিলসিলাতুল আহাদিসুস সহিহা- ২০১৯)।আখেরাতে জবাবদিহি করতে হবে….
কুরআন শিক্ষায় যথাযথ ভুমিকা পালন না করলে এ বিষয়ে আখেরাতে জবাবদিহি করতে হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, নিশ্চয় এ কুরআন তোমার জন্য এবং তোমার কওমের জন্য একটি মর্যাদাবান উপদেশ। আর অচিরেই তোমাদেরকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হবে। (সূরা যুখরুফ : ৪৪)।গাফেলদের অন্তর্ভুক্ত হওয়া…..
কুরআন শিক্ষা না করা গাফেলদের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার শামিল। কুরআনে বলা হয়েছে, কুরআনের মহাসত্য জানার পরেও যারা হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করে না, চোখ দিয়ে দেখে না, কান দিয়ে শোনে না; এরা চতুস্পদ জন্তুর ন্যায় বরং এরা তাদের চেয়েও আরো অধম ও নিকৃষ্ট এরাই হলো গাফেল। (সূরা আরাফ : ১৭৯)।কুরআন দলিল হিসেবে আসবে….
কুরআন শিক্ষা থেকে বিরত থাকার কারণে কুরআন তার বিপক্ষের দলিল হিসেবে উপস্থিত হবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন: কুরআন তোমার পক্ষে কিংবা বিপক্ষে দলীল হবে। (সহিহ মুসলিম- ২২৩ (৪২২); মিশকাত- ২৮১)।কিয়ামতের দিন অন্ধ হয়ে উঠবে…..
যে ব্যক্তি কুরআন শিক্ষা থেকে বিমুখ হয়ে থাকলো, সে কতইনা দুর্ভাগা! আল কুরআনে বলা হয়েছে, আর যে আমার যিকর (কুরআন) থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে, নিশ্চয় তার জীবন-যাপন হবে সংকুচিত এবং আমি কিয়ামতের দিন তাকে অন্ধ অবস্থয় উঠাবো। সে বলবে, হে আমার রব, কেন আপনি আমাকে অন্ধ অবস্থায় উঠালেন? অথচ আমিতো ছিলাম দৃষ্টিশক্তিসম্পন্নণ? তিনি বলবেন, অনুরূপভাবে তোমার নিকট আমার আয়াতসমূহ এসেছিল, অতঃপর তুমি তা ভুলে গিয়েছিলে এবং সেভাবেই আজ তোমাকে ভুলে যাওয়া হল। (সূরা ত্বহা : ১২৪-১২৬)।বোবা ও বধির অবস্থায় উঠবে…..
আল-কুরআন প্রত্যাখ্যানকারীদের কবর হবে সংকীর্ণ, যার দরুন তাদের দেহের পাঁজরগুলো বাঁকা হয়ে যাবে। অবশেষে কিয়ামতের দিন বোবা ও বধির হয়ে উঠবে। আল কুরআনে বলা হয়েছে: আমি কিয়ামতের দিন তাদেরকে সমবেত করবো তাদের মুখে ভর দিয়ে চলা অবস্থায়, অন্ধ অবস্থায়, বোবা অবস্থায়, বধির অবস্থায়। তাদের আবাসস্থল জাহান্নাম। যখন জাহান্নামের আগুন নির্বাপিত হওয়ার উপক্রম হবে আমি তখন তাদের জন্য অগ্নি আরও বাড়িয়ে দেবো। (সূরা বনী ইসরাঈল : ৯৭)।কোর্সটি করতে ১ টাকাও অগ্রিম দিতে হবে না। ফরম পূরণ করার পর আপনাকে কল করা হবে।
©All Reserved quranshikkha Developed by Abul Bashar